বন্ধুত্বের শুরু হয় যেভাবে...

বন্ধু অনেক বড় একটা পাওয়া।প্রতিটি মানুষ ই চায় বন্ধু পেতে। অনেকে পায় আবার অনেক পায় ও নাহ।একটা মানুষ যখন গ্রাম অথবা এক শহর এস এস সি  অথবা এইএস সি তে পাশ করার পর অন্য শহরে জায় তার জন্য বন্ধু ব্যাপার টা হয়তো বেশি এক্সাইটিং একটা বিষয়।কারণ টা হলো যে সে যেখানে জীবনের প্রথম ২০ টি বছর অতিবাহিত করেছে সেখান থেকে অন্য একটা স্থানে অন্য এক শহরে অন্য এক জায়গায় অচেনা মানুষ এর সাথে অচেনা পরিবেশ এর সাথে যখন থাকবে তখন তার জন্য বিষয় টা একটু কঠিন ই।

তার পর ও এক্সাইটমেন্ট টা থাকে যে নতুন বন্ধু পাবো।



কেমনে বন্ধুত্ত করবো নতুন কারো সাথে এগুলো নিয়ে ই এত এক্সাইটমেন্ট। এর জন্য নতুন কলেজ ভা ভার্সিটি তে জাওয়ার পর বন্ধু পাওয়ার মজা টা একটু অন্যরকম।কারণ আগের বন্ধুগুলো হলো আপনার ছোটবেলার বন্ধু ছোট থেকে ই তাদের সাথে থেকেছেন এই সুত্রে তারা বন্ধু কিন্তু আপনি যখন কোনো কলেজ  ভার্সিটি তে বন্ধু পাবেন সেগুলো বন্ধুর সাথে আপনাকে নতুন করে বন্ধুতত* করতে হয়।এর জন্য ক্যাম্পাসের প্রথম দিনটা অনেক এক্সাইটিং কারণ বেশিরভাগ বন্ধু ই প্রথমদিন ই পাওয়া যায়।

এরপর আস্তে আস্তে সবার সাথে বন্ধুত্ত হয়ে যায়।কিন্তু প্রথম দিন জাদের সাথে পরিচিত হবেন দেখবেন তাদের ভিতর ই ২-৩ জন আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড এর তালিকায় আছে ই।

হ্যাঁ পরে ও অনেক ভালো ফ্রেন্ড অবশ্যাই পাওয়া জায় কিন্তু প্রথম দিন টা একটু বেশই ই অন্যরকম।ফ্রেন্ড মানে যে শুধু বেস্টফ্রেন্ড তা কিন্তু নাহ বেস্টফ্রেন্ড ছাড়াও অন্য ধরনের ফ্রেন্ড থাকে যেমন কিছু ফ্রেন্ড থাকে তাদের সাথে আপনার অনেক ভালো ফ্রেন্ডশিপ কিন্তু আপনারা বেস্টফ্রেন্ড নাহ।

আবার কিছু ফ্রেন্ড থাকে যাদের সাথে দেখা হলে শুধু কথা হয় কিছু এই আবার কিছু ফ্রেন্ড থাকে যাদের সাথে দেখা হলে 'কিরে দোস্ত কি অবস্থা ' এতটুকু এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।সাধারণত Ambivert লোকজন দের সময় এমন দেখা দেয় যে তাদের নিজের যে ২-৩ টা ফ্রেন্ড আছে এদের একদম ফ্যামিলি মেম্বার মনে করে এদের ফ্রেন্ড সার্কেল থাকে কিন্তু তেমন বড় নাহ কিন্তু এদের অন্য কিছু ফ্রেন্ড ও থাকে জাদের সাথে সম্পর্ক খুব ভালো ই।Introvert দের সময় এমন দেখা জায় যে তারা নিজের ফ্রেন্ড বলে তেমন নেই, এদের ফ্রেন্ড থাকলেও তার সংখ্যা সীমিত।এদের তেমন ফ্রেন্ড সার্কেল থাকে না।ফ্রেন্ড দের কোনো অনুষ্ঠান এ এদের সাধারণত দেখা যায় নাহ।

আর যারা Extrovert তাদের ফ্রেন্ড সার্কেল টা একটু বড় হয়।এদের ফ্রেন্ড এর অভাব নাই।কোনো ক্যাম্পাসের সেইম ডিপার্টমেন্ট এর মোটামুটি  সবার ই এরা ফ্রেন্ড এদের নিজেদের ই একটা গ্যাং বলতে পারেন।

বন্ধুত্ত অনেক দামী একটা জিনিস যেটা পায় সবাই মে বি কিন্তু কেউ এটাকে বেশি দাম দেয় কেউ কম।

বন্ধু এর ভিতর অনেক সময় ঝগড়া মারামারি হয় কিন্তু দেখা জায় অন্য কেউ যদি তার ওই বন্ধুকে কিছু বলে তখন সে নিজেদের রাগারাগি এর কথা ভূলে যে তার বন্ধু রে কিছু বলে তার সাথে ঝামেলা লাগায়।আসলে বন্ধু জিনিস ই এমন যার প্রতি রক্তের টান না থেকে ও চলে আসে। আমার মতে একজন মানুষ যখন তার বন্ধুকে নিজের ভাই অথাবা নিজের বোন মনে করবে তখন এর পরিপূর্ণতা টা পাবে।


লিখেছেন : পারবেজ 

Post a Comment

0 Comments