বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকসমুহ

 


গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক


স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক গ্রহণ করা হয় (সংবিধানের ৪ (৩) অনুচ্ছেদ)। জাতীয় প্রতিকের মাঝে রয়েছে পানিতে ভাসমান বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা, ফুলটিকে বেষ্টন করে আছে ধানের দুটি শীষ। চূড়ায় রয়েছে পরস্পর সংযুক্ত তিনটি পাটগাছের পাতা ও তার উভয়পার্শ্বে দুটি করে মোট চারটি তারকা। চারটি তারকা দিয়ে বাংলাদেশের সংবিধানের চারটি মুলনীতিকে নির্দেশ করা হয়। পানি, ধান ও

পাট প্রতীকে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত হয়েছে বাংলাদেশের নিসর্গ ও অর্থনীতি।

বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক

বাংলাদেশ বিষয়াবলী বাংলা ভূখন্ডের ইতিহাস



বাংলাদেশের মানুষ জাতি হিসেবে বাঙালি এবং নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশী ( সংবিধানের ৬ (২) অনুচ্ছেদ)। সংবিধানের ৩ নং অনুচ্ছেদে 'বাংলা' কে রাষ্ট্র ভাষা উল্লেখ করা হয়েছে।

সংবিধানের ৪(১) নং অনুচ্ছেদে ‘আমার সোনার বাংলা' গানটির প্রথম ১০ চরণকে জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করা হয়। গানটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় ১৯০৫ সালে বঙ্গদর্শন পত্রিকায়। বাউল সুরে রচিত জাতীয় সঙ্গীতের সুরকার ও রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, তিনি সুরটি গ্রহণ করেন গগণ হরহকরার গানের সুর থেকে। কোন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীতের প্রথম ৪টি চরণ বাজানো হয়। দেশাত্মবোধ সৃষ্টির লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় সংগীত পরিবেশনা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

মানচিত্রখচিত প্রথম জাতীয় পতাকা, ডিজাইন করেন শিব নারায়ণ দাশ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের বর্তমান পতাকাটি ১৯৭২ সালের ১৯ জানুয়ারি থেকে ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমান পতাকাটির রূপকার শিল্পী কামরুল হাসান। ১০:৬ অনুপাতের আয়তক্ষেত্রের মাঝে খানিকটা বাম পাশে রয়েছে লাল বৃত্ত। পতাকার দৈর্ঘ্য ও বৃত্তটির ব্যাসার্ধের অনুপাত হচ্ছে ৫:১ ।

বাংলাদেশের বর্তমান জাতীয় পতাকা


জাতীয় পাখি - দোয়েল
জাতীয় মাছ - ইলিশ
জাতীয় পশু - রয়েল বেঙ্গল টাইগার
জাতীয় খেলা - হাডুডু (কাবাড়ি)
জাতীয় ফুল - শাপলা
জাতীয় ফল - কাঁঠাল
জাতীয় বৃক্ষ - আম গাছ
জাতীয় বন - সুন্দরবন


বাংলাদেশের জলবায়ুর ধরণ – উপ ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু । বাংলাদেশের উষ্ণতম স্থান – নাটোরের লালপুর সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত – নাটোরের লালপুর। বাংলাদেশের শীতলতম স্থান – মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল বাংলাদেশের মোট বিভাগ – ৮টি জেলা – ৬৪টি সিটি কর্পোরেশন – ১২টি, পৌরসভা – ৩৩০টি, উপজেলা – ৪৯২টি ।

বাংলাদেশের শাসন ব্যবস্থা এককেন্দ্রিক এবং সরকার পদ্ধতি সংসদীয় গণতন্ত্র। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্র প্রধান হচ্ছেন রাষ্ট্রপতি এবং সরকার প্রধান হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের পার্লামেন্টের নাম – জাতীয় সংসদ (House of the Nation)


বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬.১৭ কোটি (৮.১০ কোটি পুরুষ ও ৮.০৭ কোটি মহিলা) । জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার: ১.৩৭%, জন্মহার: প্রতি হাজারে ১৮.৮ জন ও মৃত্যুহার : প্রতি হাজারে ৫.১ জন। জনসংখ্যার দিক দিয়ে পৃথিবীর ৮ম বৃহত্তম দেশ।

৪র্থ বৃহৎ মুসলিম দেশ, মুসলিম সংখাগরিষ্ঠ দেশ হিসাবে বিশ্বের ৩য় দেশ, জনসংখ্যার ঘনত্বের দিক দিয়ে বিশ্বের ৭ম বৃহৎ দেশ এবং ১০ কোটির উপর জনসংখ্যার দেশ হিসাবে বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। বাংলাদেশ গাঙ্গেয় বদ্বীপে অবস্থিত, যা পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বদ্বীপ। কক্সবাজার পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত। বাংলাদেশে বর্তমান শিক্ষার হার ৬৩.৬%।

অর্থনীতি


অর্জন : বাংলাদেশ D-8 এর সদস্য।

গোল্ডম্যান স্যাস কর্তৃক “Next Eleven Economy of the world" হিসেবে বিবেচিত।

মাথাপিছু আয়: $১,৭৫২ (সুত্র: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৮) জিডিপি প্রবৃদ্ধি (%) : ৭.৬৫ (সুত্র: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা – ২০১৮) দারিদ্র্যের হার : ২৪.৩% (সূত্র: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৮) গোল্ডম্যান স্যাস কর্তৃক “Next Eleven Economy of the world" হিসেবে বিবেচিত।

মাথাপিছু আয়: $১,৭৫২ (সুত্র: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৮) জিডিপি প্রবৃদ্ধি (%) : ৭.৬৫ (সুত্র: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা - ২০১৮) দারিদ্র্যের হার : ২৪.৩% (সুত্র: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৮)
মানব উন্নয়ন সূচকে অবস্থান : ১৩৯ তম
আন্তর্জাতিক অনুদান নির্ভরতা: ২% প্রধান ফসল: ধান, পাট, চা, গম, আঁখ, ডাল, সরিষা, আলু, সবজি,
ইত্যাদি।

প্রধান শিল্প : পোশাকশিল্প (পৃথিবীর ২য় বৃহত্তম শিল্প), পাট (বিশ্বের সর্ববৃহৎ উৎপাদনকারী), চা, সিরামিক, সিমেন্ট, চামড়া, রাসায়নিক দ্রব্য, সার, চিংড়ি প্রক্রিয়াজাত, চিনি, কাগজ, ইলেক্ট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী, ঔষধ, মৎস্য।

প্রধান রপ্তানি :
পোশাক (পৃথিবীর ২য় বৃহত্তম শিল্প), হিমায়িত চিংড়ি, চা, চামড়া ও চামড়াজাত দ্রব্যাদি, পাট ও পাটজাত দ্রব্য (পাট উৎপাদনে বাংলাদেশ প্রথম), সিরামিক্স, আইটি আউটসোর্সিং, ইত্যাদি। প্রধান আমদানি : গম, সার, পেট্রোলিয়াম দ্রব্যাদি, তুলা, খাবার তেল, ইত্যাদি।


Post a Comment

0 Comments