Squid Game কেন এত জনপ্রিয় হয়েছে? টান টান উত্তেজনা নিয়ে এই সিরিজ দেখে নাই এমন লোক খুব কম পাওয়া যাবে। সোসাল মিডিয়া ভাইরাল হয়ে Squid গেমের জনপ্রিয়তা আরো বৃদ্ধি করে দেয়।
টান টান উত্তেজনার এই দক্ষিণ কোরিয় টিভি নাটক সিরিজে ঋণে জর্জরিত প্রতিযোগীদের একটি গেম বা খেলায় অংশ নেয়ার জন্য একটি নম্বরে ফোন করতে বলা হয়। বিজয়ীর জন্য থাকে বিশাল অঙ্কের নগদ অর্থ পুরস্কার হিসাবে জেতার সুযোগ। তাদের অংশ নিতে হয় শিশুরা যেধরনের খেলা খেলে, সেরকম এক গেমে। তবে এই গেম একেবারে জীবন-মৃত্যুর লড়াই। এতে হারলে মৃত্যু। আর জিতলে খেলার পরের ধাপে যাবেন প্রতিযোগী।
এই ধরনের অনুষ্ঠানের ধরন খুব যে নতুন বা অভিনব তা নয়। তবে বিবিসির ওয়েই ইপ এবং উইলিয়াম লি বলছেন সিরিজ অনুষ্ঠানের আকর্ষণীয় ভিস্যুয়াল, চরিত্রগুলোর সাথে বাস্তবের মিল এবং মানব চরিত্রের কিছু কঠিন ও বেদনাদায়ক দিক যেভাবে এতে উঠে এসেছে, তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষের মনকে ছুঁয়েছে।
স্কুইড গেম খেলায় আছে ৪৫৬জন প্রতিযোগী। এদের সবাই ঋণে জর্জরিত এবং উঠে দাঁড়াতে মরিয়া। ছয়টি খেলার এই সিরিজ জিতলে বিজয়ীর হাতে আসবে ৪৫.৬ বিলিয়ন কোরিয়ান ওয়ন বা ৩৯ মিলিয়ন ডলার। আর হারলে মৃত্যু অবধারিত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই গেম সিরিজের সাফল্যের চাবিকাঠি হল এর চরিত্রদের বেশিরভাগই সমাজের প্রান্তিক মানুষ।
তাদের সকলেই বিশাল আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত হলেও তারা সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
যেমন, প্রধান চরিত্র একজন বেকার যার জুয়ার সমস্যা রয়েছে। ফলে পরিবারের কারোর কাছ থেকে সে সম্মান পায় না। এই গেম সিরিজে সে দেখা পেয়েছে একজন তরুণীর যে উত্তর কোরিয়া ত্যাগ করে দক্ষিণে চলে এসেছে। তার জীবনে অনেক কঠিন অভিঘাত এসেছে। তার সাথে দেখা আরেকজন পাকিস্তানি শ্রমিকের যার মালিক তার সাথে খুব দুর্ব্যবহার করেন।
সাংমিউং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ব সংস্কৃতি বিষয়ের অধ্যাপক কিম পিয়ং-গ্যাং বিবিসিকে বলেন: "মানুষ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম যারা আসল জীবনে বিচ্ছিন্নতা এবং প্রতিকূলকতার শিকার হয় পদে পদে, তারা এই চরিত্রগুলোর মধ্যে নিজেদের মিল খুঁজে পেয়েছেন এবং চরিত্রগুলো, দেখা যাচ্ছে, তাদের সহানুভূতি কুড়াচ্ছে।"
জীবনযুদ্ধে পরাজিত, সমস্যায় জর্জরিত এবং গভীর হতাশাগ্রস্ত কিছু মানুষের গল্প নিয়ে তৈরি এই থ্রিলার সিরিজ 'স্কুইড গেম'-এর গল্প লিখেছেন ও পরিচালনা করেছেন হোয়াং ডং-হিউক।
0 Comments